মুহিমের ১৫ বছরের ভালবাসা
মুহিন ছিল খুব মেধাবী। সরকারি কলেজ এ পড়ত। অর মেধার সাথে কেউ পারত না। ভালো
খেলত। ভালো গান গাইত। আর পড়াশুনা তে আরো অনেক ভালো। মুহিম ছিল অনেক গরীব। অর বাবা
দিনমজুর ছিল। কিন্তু দারিদ্র তাকে থামাতে পারিনি। পড়াশুনা চালিয়ে গেছে। কিন্তু
ভালোবাসা ধনী গরীব কিছু বুঝে না।
মুহিম ভালোবেসে ফেলে মিম কে। মিম ছিল বাবা মার একমাত্র মেয়ে। বাবা অনেক বড়
একজন সরকারি কর্মকর্তা। মিম অনেক আদরের ছিল। মুহিম মিম এর কাছে কিছু না। মুহিম
কোথাই আর মিম কোথাই।
মিম মনে মনে মুহিম কে ভালোবাসতো মুহিম এর মেধা, মিম এর মন কে দলা দিয়ে
গেছিল। অদের বিদায় এর দিন মিম মুহিম কে বলে দেই আমি তোমাকে ভালোবাসি। মুহিম খুশী
তে আত্মহারা। মুহিম আর মিম এর ভালোবাসা চলতে থাকে। অরা ২জনে H.S.C তে A+ পায়। ২জন ২জন
কে ছাড়া কিছু বুঝতনা। তারা যেন একসুতার মালা। মুহিম ঢাকা ভার্সিটিতে ভর্তি হয়। আর
মিম M.K.C তে। একদিন অদের একসাথে দেখে ফেলে মিম এর
বাবা। মিম এর বাবা মিম কে বলে দিলো মুহিম এর থেকে দূরে থাকতে তার কারন মুহিম অনেক
গরীব। কিন্তু মিম অর বাবা কে বলে দেই মুহিম কে ছাড়া সে বাজবে না। অর বাব মিম কে
থাপ্পুর দিলো। কেটে গেলো অনেক দিন, মিম এর বাবা মীম এর বিয়ে ঠীক করে মীম রাজি না।
কিন্তু অর বাবা জড় করে অনেক। মিম মুহিম কে বলে। মুহিম এর এক বন্ধুর মোবাইল এ কল
করে। তার কারন মুহিম এর মোবাইল ছিল না। মিম বলে দেই আমরা পালিয়ে যাবো মুহিম রাজি
হয়ে যাই। মিম বাসা থেকে পালিয়ে যাই। যেখানে অদের দেখা করার কথা ছিল অখানে মিম আগে
চলে যাই কিন্তু মুহিম টাকা যোগার করতে করতে অনেক সময় নিয়ে নেই। মুহিম এসে দেখে মিম
নেই। মিম তো রাগ করে চলে গেছে অনেক সময় দাড়িয়ে ছিল মিম। মুহিম অনেক দেড়ি করে
ফেলেছে। মিম ভাবে মুহিম আসবে না। তাই মিম একা অনেক দূরে চলে যাই। আর মুহিম ভাবে
মিম আসেনি।
মুহিম অনেক কষ্ট পাই। এর মিম যে কতটা কষ্ট পেয়েছে তা মুহিম জানল না।
(১৫ বছর পর)
মুহিম আজ কর্নেল বাংলাদেশ আর্মি। শীত মহরা দিতে মুহিম রাঙ্গামাটি যাই।
শেখানে একদিন টহল দিতে বের হয় মুহিম। টহল দেবার একসময় মুহিম দের উপর আক্রমণ করে
শুত্রুরা। মুহিম রা পাল্টা আক্রমণ চালাই। কিন্তু তাদের মাজে চলে আসে একটি মেয়ে
মুহিম বুঝতে পারে মেয়েটি শত্রু না। মুহিম নিজের জীবন বাজী রাখে আর রাকবে না কেন
মুহিম যে বাংলাদেশ আর্মির একজন অফিসার তাদের যে মরার ভয় নেই। যাই হক মেয়েটিকে
উদ্ধার করে মুহিম। উদ্ধার এর পর মুহিম মেয়ে তার বাড়িতে দিয়ে আসবে বলে বের হয়।
কিন্তু বাড়িতে গিয়ে মুহিম আকাশ থেকে পরে। মেয়ে তা মা মা বলে জাকে ডাকছে মহিলাটি
মিম। মিম অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে মুহিম এর দিকে। মিম রাগে মুহিম এর কলার ধরে বসে মিম
এর সাহস আছে বলতে হবে ড্রেস পরা মুহিম কর্নেল মুহিম এর কলার বলে কথা। মিম বলে কেন
আসনি তুমি তো অনেক ভিতু একটি মেয়ের ভালোবাসার দাম দিতে পারনি। তুমি কি করে আর্মি
হলে। আমি তো জানি আর্মি রা অনেক সাহসী হয়। তুমি ভিতু কি করে হলে আর্মি। আমি
ক্যাপটিন এর কাছে বলে দিবো তুমি দেশের জন্য কিছু করবে না। মিম এর ধারনা ছিল না
মুহিম কে। ক্যাপটিন সুমন মুহিম এর পাশে দাড়িয়ে ছিল। মুহিম কিছু না বলে দাড়িয়ে থাকে।
ক্যাপটিন সুমন বলে আমি ক্যাপটিন সুমন আজ
স্যার আপনার মেয়ে কে বাঁচিয়েছে।মিম মুহিম
এর কলার ছেড়ে দেই। মুহিম মিম কে জিজ্ঞাসা করে কেমন আছো? মিম বলে ভালো। তোমার
স্ত্রি কেমন আছে? আর তোমার বাচ্চারা? মুহিম হাঁসে আর বলে আমি বিয়ে করি নি। আমি
গিয়েছিলাম কিন্তু টাকা জোগার করতে আমার দেড়ি হয়ে গেছিলো। আমি গিয়ে তোমাকে পাইনি।
স্বামী শন্তান নিয়ে সুখে আছো দেখে খুশী হলাম। বলতে বলতে মুহিম এর চোখে পানি চলে
আসলো। মিম বলে আমি বিয়ে করি নি সেদিন তুমি আসনি বলে রাগ করে আমি এখানে চলে আসি। যে
মেয়ে টাকে দেকছ অর দাদি আমাকে এখানে থাকার জাগা দিয়েছিল। অর দাদি ৬ বছর আগে মারা
যাই কিসুদিন পর অর মা অকে ১বছর এর রেখে মারা যাই। তাই অ আমাকে মা বলে চিনে। মুহিম
মিম কে জিজ্ঞাসা করে তুমি আজো আমাকে ভালোবাসো মিম বলে অনেক আগের মতো ভালোবাসি।
মুহিম বলে আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি। অদের ২জনের মিল হয়।
বুঝাগেল সত্যিকারের ভালোবাসা কোনদিন মরে না। তারা ১৫ বছর পর আবার মিলে
গেলো।
WRITER= MINHAJ TANVIR
No comments
Post a Comment