Header Ads

বখাটে রাতুল আজ ক্যাপটিন রাতুল। ভালোবাসার জন্য

রাতুল পাড়ার ১০টা বাজে ছেলে র মধ্যে একজন। পুরো পাড়া টা জেনো রাজত্ব করে বেরায় । প্রত্যেক মেয়ের কাছে জেনো রাতুল একটা বাজে ছেলে। কোন মেয়ে ওকে দেখতে পারে না। অ খুব খারাপ ছাত্র। সবাইকে উত্তপ্ত করলেও একজন কে করত না। মিম কে। মিম কলেজ এর সবচেয়ে ভালো স্টুডেন্ট। মিম রাতুল এর নাম শুনতে পারত না। রাতুল মিম কে প্রচুর ভালবাসত।রাতুল, মিম কে তা অনেক আগে জানাই দেয় কিন্তু মিম রাতুল কে না করে দেই। না করে দেয়া টা স্বাভাবিক।

রাতুল কলেজ এ শুধু মারা মারি ছাড়া আর কিছু করত না।

মিম কে কেউ প্রেমের প্রস্তাব দিতো না তার কারন রাতুল। সবাই জানে রাতুল মিম কে ভালবাসত।

রাতুল স্কুল জীবন থেকে এমনি। কিন্তু ভাজ্ঞ ক্রমে কিভাবে যে SSC A+ পেলো তা কেউ বুজতে পারল না।

মিম এর পরিবার অনেক গরীব ছিলো। মিম যখন টেস্ট পরীক্ষা দিবে তখন তার ফি দিতে পারে না। রাতুল তা শুনে নিজের ফি এর টাকা টা দিয়ে মিম এর ফি দিয়ে দেয়। মিম পরে জানতে পারে এবং রাতুল কে থাপ্পড় দেয়। রাতুল বলে আমি তো খারাপ ছেলে পাশ করবো কিনা সন্দেহ কিন্তু তুমি তো অনেক ভালো মেয়ে অনেক ভালো স্টুডেন্ট আমি ফি দিলে তা নষ্ট হতো তায় তোমাকে দিলাম। আমি হাজার চেষ্টা করলেও তোমার মতো হতে পারবো না। মিম উত্তর দেই তুমি আমাকে ভালোবাসো না? আর আমি কেনো তোমাকে ভালবাসবো যে ছেলে নিজেকে ভালো করতে পারে না। যে অন্যদের  মারে যে অন্যদের ভালবাসতে পারে না সে আমাকে কি করে ভালবাসবে। রাতুল বলে আমি যদি  ভালো হয় আমি যদি সব ছেড়ে দেই তুমি আমাকে ভালো বাসবে? মিম বলে আগে ভালো হয়ে দেখাও।

পর দিন থেকে যেন অন্য রাতুল নিজের মোবাইল বিক্রি করে পরীক্ষার ফি দিলো। সব কিছু ছেড়ে দিলো এ জেনো এক উত্তম ছেলে। মন দিয়ে পড়ত কেউ মারামারি করলে নিজে তা মীমাংসা করত। HHC পরীক্ষা শেষ রাতুল আর মিম ২জনে A+ পেলো। মিম এখন রাতুল কে ভালবাসে। রাতুল কে ছাড়া মিম জেনো এখন একা। ২ জন ২জন কে ছাড়া কিছু বুজত না। রাতুল আর্মি তে পরীক্ষা দেই। আর্মি তে জব পেয়ে জায়। রাতুল ট্রেনিং এ যাবে। মিম এর কান্না জেনো থামে না। অনেক কষ্টে রাতুল জায়। ৬ মাস পরপর রাতুল বাড়িতে আসত মিম এর সাথে আর পরিবার এর সাথে দেখা করতে। মিম জেনো রাতুল এর জীবন টা পালটে দিলো। ২ বছর পর রাতুল এখন ক্যাপটিন । বাংলাদেশ আর্মি ক্যাপটিন। অফিসার রাতুল। ৪ বছর পর তাদের বিয়ে ঠিক হলো। বিয়ের ৬মাস পর রাতুল ছুটিতে বাড়িতে। হঠাৎ করে রাতুল এর কাছে ফোন আসলো পার্বত্য এলাকা তে খুব তৎপর হয়ে দাঁড়িয়েছে জঙ্গি রা। রাতুল সাথে সাথে বের হয়ে যায় রাঙ্গা মাটির উদ্দেশে। যাবার  আগে মিম কে বলে যায় । আমি চলে যাচ্ছি দেশের টানে। তুমি বলে ছিলে যে ছেলে অন্যদের ভালবাসতে পারে না  সে আমাকে কি করে ভালো বাসবে?। আজ আমি আমার দেশ কে ভালোবাসি। নিজের দেশ এর জন্য জীবন দিতে পারি যদি  আমার কিছু হয়ে যায়  তবে আমার সন্তান কে বলো তার বাবার মতো জেনো একজন দেশ প্রেমিক হয়। তার বাবা যেমন ছিল আগে তেমন যেন না হয়। যদি  হয় হয়তো তোমার মতো অন্য কেও  অর জীবনে  এসে আমার মতো পালটে দিবে না। বখাটে রাতুল থেকে ক্যাপটিন রাতুল নাও হতে পারে। তুমি ওকে দেখো। আর আমার কিছু হলে কান্না কর বানা আমি আর্মি তে শিখেছি যেন কোনো পরিস্থিথিতে কান্না করতে নেই। তুমি পারলে অন্য কাউ কে বিয়ে করে নিয়। মিম কান্না করতে করতে রাতুল কে বিদায় দেই। ২দিন পর টহল দিতে বের হয় রাতুল। ক্যাম্প থেকে ১২ কিমি দূরে যেতে তাদের উপর আক্রমণ করে জঙ্গি রা। কিছু বুজে উঠার আগে তাদের উপর চলে এলোপাথাড়ি গুলী। কিন্তু তারা বাংলাদেশ আর্মি তারা যে ভয় হীন তারা পাল্টা আক্রমণ করে। তারা মাত্র ২৪জন ছিলেন আর জঙ্গি রা ছিলো ১০০ জনের উপর। রাতুল দের মধ্যে ৫ জন গুলি বিদ্ধ। আর্মি কমান্ডো টিম আসতে একটু দেরি হবে। এরি মধ্যে জঙ্গি রা অনেক কাবু হয়ে গেছে। চলে আসে কমান্ডো টিম। জঙ্গি রা জেনো  বারতে থাকে আরো জঙ্গি আসে। রাতুল এর সামনে গুলী খাই একজন আর্মি। রাতুল সবাইকে আগাতে বলে রাতুল আগে চলে যায়। ঐদিকে মেশিনগান মেন গুলী খেয়ে পরে যায়। জঙ্গি রা বারতেই থাকে। রাতুল সিদ্ধান্ত নেই পিছন দিক থেকে আক্রমণ করবে সবাইকে পিছন দিক থেকে আক্রমণ করতে বলে আর রাতুল ততো ক্ষণ মেশিনগান চালাবে। যাতে  সবায় পিছন দিক থেকে আক্রমণ করার জন্য যেতে পারে। রাতুল এ কাই যেন  ২০০ জঙ্গি কে আটকে রেখেছে। হঠাৎ করে একটি গুলী এসে লাগে রাতুল এর বুকে মাটিতে পরে যাই রাতুল। কিন্তু তার পর কষ্ট করে আবার মেশিনগান ধরে রাতুল জানে অ গুলী থামালে  অনেক আর্মি মারা যাবে। ততো ক্ষণ আর্মি কমান্ডো টিম পিছন দিক থেকে আক্রমণ করে। জঙ্গি রা কিছু বুজে উঠার আগে একদম শেষ করে দেই তাদের। রাতুল অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হয়ে ঐ খানে শহীদ হয়। কিন্তু বিজয় হয় বাংলাদেশ আর্মির।

রাতুল এর খবর শুনে মিম বেহুঁশ হয়ে যায় । ৩দিন অজ্ঞান ছিলো। ৯মাস পর মিম জন্ম দেয়  রাতুল এর শন্তানের। মিম কোনো দিন আর বিয়ে করে নি।

ঐ বখাটে রাতুল কে ক্যাপটিন রাতুল বানিয়ে ছিলো মিম।

আজ ২৬ বছর পর রাতুল এর সন্তান বাংলাদেশ আর্মির  মেজর রিহাদ।

সত্যি একজন মেয়ে হতে পারে একজন ভালো প্রেমিক। একজন ভালো স্ত্রি। একজন ভালো মা।

বিদ্রঃ সম্পূর্ণ কাল্পনিক গল্প এটি।

Writer=Minhaj Tanvir

No comments

Theme images by RBFried. Powered by Blogger.