Header Ads

গরীব আবির আজ বিজ্ঞানী রাতুল। ফিরে পেলো মিম কে

আবির আর মিতু ২জনে একি সাথে বড় হয়েছে। আবির মিতুর থেকে ২বছরের বড়।

আবির মিতুদের থেকে অনেক গরিব ছিলো। কিন্তু আবির মিতুকে অনেক ভালবাসত কখনো বলতে সাহস করে নি। কারন মিতু যে অনেক ধনী। মিতু একটু অহংকারি ছিলো আবির তা জান্ত। কিন্তু মিতু কখনো আবির এর সাথে অহংকার দেখাত না। আবির এর সাথে খুব ভালো ভাবে চলা ফেরা করত। আবির আর মিতু বেষ্ট ফ্রেন্ড ছিলো। তারা বয়স নিয়ে মাথা ঘামাত না। মিতু ফুচকা খেতে অনেক ভালবাসত তাই আবির নিজে না খেয়ে সেই টাকা দিয়ে মিতুকে ফুচকা খাওয়াত মিতু যা চাইত আবির তাই দিতো এমন কি নিজের শখের জিনিসপত্র বিক্রি করে। আবির যখন ইন্টার পাশ করে তখন মিতু কে ভালোবাসার কথা বলে দেয়। মিতু আবির কে প্রচুর অপমান করে আর বলে দেয় তুমি গরিব তেলে আর জলে মিশে  না। আবির কাঁদতে কাঁদতে চলে যায়।
(১২বছর পর)

মিতু আজ ডাক্তার মিতুর বিয়ে হয়নি।তার ডাক্তারি পড়ার খরচ তার চাচা দিয়েছে বলে জানে মিতু। তার কারন ৮ বছর আগে তার বাবা ইন্তেকাল করে সব কিছু ব্যাংক নিয়ে নেয় । এ জন্য পুরো পরিবার মিতু চালায় । মিতুর আর অহংকার নেয়। মিতু আজ সত্যি মানুষ কে ভালবাসতে পারে। মাঝে  মিতুর সাথে একজনের সম্পর্ক হয় কিন্তু উনি ও চলে যায়  মিতুকে ছেড়ে অন্য একজনের  সাথে। আজ মিতু আবির কে খুব মিস করে। একদিন সকাল বেলা খবর এর কাগজ পড়তে  ছিলো মিতু একটি খবর তার নয়ন আটকে যায় দেখে আবির এর ছবি। আবির আজ অনেক বড় একজন বিজ্ঞানী নাসার বিজ্ঞানী। এবং আরো দেখে আবির বাংলাদেশ এ আসবে কয়েকদিন এর মধ্যে। মিতু তার মাকে বলে আবির আমাকে অনেক ভালবাসত আমি অকে অনেক অপমান করি আজ অ আমার থেকে অনেক বড় আজ হয়তো অনেক সুন্দরী অনেক ধনির দুলালী অর স্ত্রী। কিন্তু মিতুর মা মিতুকে যা  বলে তা শুনার জন্য মিতু প্রস্তুত ছিলো না। অর মা বলে মিতুর পড়াশুনার সব খরচ আবির দিয়েছে। আবির স্কলারশিপ পেয়ে বিদেশে চলে যায়। তুই যখন ডাক্তারি পড়িস মাত্র ২য় সেমিস্টারে তখন ই তর বাবা মারা যায় । আমি তর চাচার কাছে হাত পাতি যাতে তোদের ৪ ভাই বনের পড়া লেখার করচ টা দেয়। আমাদের পরিবার টাকে জেনো দেখে কিন্তু তর চাচা আমাকে দূর দূর করে বের করে দেয়। আমার মোবাইলে কল দেয় আবির সব জেনে আবির বলে আমি আপনাদের সব কিছু দিবো কিন্তু মিতু কে বলবেন না অ জানতে পারলে আমার সাহায্য নিবে না। আমি  এ জন্য কিছু বলি নি। অ জা রোজগার করত তা আমাদের আর অর পরিবার কে দিতো। নিজের জন্য কিছু করত না সব আমাদের দিতো। আর আবির এখনো বিয়ে করে নি। কারন অ যে তকে অনেক ভালো বাসে। এ কথা গুনে মিতু কাঁদে প্রচুর। আবির যেদিন বাংলাদেশে আসে তখন মিতু এয়ারপোর্ট যায়  কিন্তু অনেক সাংবাদিক অনেক মানুষ আসছে আবির কে দেখতে। আবির এর সাথে কথা বলতে। দূর থেকে আবির মিতুকে দেখে মিতুর কাছে আসে। মিতু তখন কান্না করতে ছিলো আবির জিজ্ঞাসা করে পাগল কান্না করতেছ কেনো। মিতু সংগে সংগে আবির কে জরিয়ে ধরে আর বলে আমাকে ক্ষমা করে দাউ আমি তোমাকে কষ্ট দিয়েছি। আবির বলে ভালোবাসার মানুষ ভুল করলে তা মনে রাক্তে হয়না।
আজ আবির আর মিতু অনেক সুখে আছে।
Writer=Minhaj Tanvir

No comments

Theme images by RBFried. Powered by Blogger.