একদিন বিকালবেলা।
একদিন বিকালবেলা।
পুকুরপাড়ের ঘাটে বসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতেছিলাম, মাছ ধরায় আমার ছোটকাল থেকেই একটা নেশা আছে। এক একটা করে মাছ ধরে চিহ্ন দিয়ে আবার মাছটাকে ছেড়ে দিচ্ছি, দেখছি চিহ্নিত মাছগুলো আবার বড়শিতে ধরা পড়ে কি না। এভাবে গোটা বিশেক মাছ ধরার পরও কোন চিহ্নিত মাছ ধড়া দিলো না। তাই বুঝতে পারলাম মাছ গুলো শিক্ষা পেয়ে গেছে। এভাবেই মাছ ধরে আবার ছাড়তে লাগলাম। পুকুরপাড়ের ঘাটের পাশেই একটা পাঁচতালা বিশাল বড় পুরনো বিল্ডিং।
.
এটাতেই আমরা নিচতলাতে থাকি আজ অনেক বছর ধরে। বিল্ডিংটা দাদার বাবার আমলের। তাই অনেক পুরনো তবে এখনো অনেক মজবুদ। দেখতেও অনেক সুন্দর। মাছ ধরতে ধরতে আমি প্রায় ক্লান্ত। এমনি একটি টুকরো চিরকুট কোত্থেকে যেনো উড়ে এসে আমার কাছে পড়লো। বড়শি বাদ দিয়ে চিরকুটটি খুললাম, এখানে দুই লাইনের লেখাঃ আর কত মাছ ধরবেন? সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে এবার ঘরে ফিরুন।
আমি মুচকি হাসলাম; আর ভাবতে লাগলাম কে যেনো আমার প্রেমে পড়লো বুঝি। যাক সন্ধ্যা যখন চলেই আসছে ঘরেই ফিরে যাই।
.
ঘরে ফিরেই ওয়াশরোমে গিয়ে হাত পা ধুয়ে আমার রোমে ঢুকেই অবাক হলাম। কি আশ্চর্য মা আমার রোমটা আজ কত সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছে। আজ কোন বিশেষ দিন নাকি জিজ্ঞেস করতে মায়ের রোমে চলে গেলাম।
- মা মা...! বলে ডাক দিতেই মা বারান্দা থেকে বলল,
- আসছি বাবা...!
- মা, আজ কি কোন বিশেষ দিন?
- না তো, কেনো?
- তো আমার রোমটা আজ এত সুন্দর করে সাজিয়ে ঘুছিয়ে রেখেছো কেন?
- নারে বোকা আমি সাজাইনি।
- তো কে সাজাইছে?
- সান্তিয়া।
- সান্তিয়া আবার কে?
- তুই সান্তিয়ারে চিনিস না? আরে কিছুদিন আগে যে বেচারি আর বেচারির মা আমাদের দুতলায় ভাড়াটে উঠেছে।
- অহ, ওর নাম সান্তিয়া?
তখন বুঝে গেলাম চিরকুটটি এই মেয়েটিই পাঠিয়েছে।
- কি ভাবছিস?
- কিছুনা, তবে ঐ মেয়েকে তুমি কেন বললে আমার রোম সাজিয়ে-গুচিয়ে দিতে?
- আরে আমি বলি নাই, সে বিকাল থেকেই আমার সাথে এটা সেটা নিয়ে গল্প করছিলো সবদিনই করে টুকটাক কাজও করে দেই। তো আজ হটাৎ বলতেছে আন্টি ভাইয়ার রোমটা সবসময় এমন আগুছালো থাকে কেনো? আমি একটু গুছিয়ে দেই? আমি না করেছি তবু সে করে দিয়ে গেছে। আর শোন মেয়েটা অনেক ভালো, মেয়েটা অবসর হলেই আমার সাথে এসে গল্প করে তোর কথাও অনেক বলে সারাক্ষণই তোর প্রশংসা করে, তোর লেখা গল্প নাকি ওর অনেক ভালো লাগে। তোকে নাকি ডাক দিলে সাড়া দেসনা। শুন পৃথিবীতে মেয়েটির মা ছাড়া আর কেউ নেই। মেয়েটি ডাক দিলে সঙ্গ দিস তুই কিছুদিন ওর সাথে মিশে দেখ বুঝতে পারবি মেয়েটি কতটা ভাল। আরেকটা কথা বাবা পৃথিবীর সব মেয়ে এক না। একটা মেয়ে তোকে ছেড়ে চলে গেছে বলে এই না যে পৃথিবীর সবকয়টা মেয়েই স্বার্থপর। আর যদি পৃথিবীর সবকয়টা মেয়ে যদি স্বার্থপর হতো তাহলে মানব জাতির বংশ কখনোই বৃদ্ধি পেত না।
.
তখন মায়ের কথাগুলো শুনে আমার পুরোটা শরীল শীতল হয়ে গেলো। তারপর আমার রোমে চলে এসে মায়ের কথাগুলো চিন্তা করে দেখলাম কথাগুলো একেবারেই সত্যি বাস্তব কথা, বাস্তবতাই ইহার প্রমাণ।
তারপর থেকে আমার ধারণা পালটে গেলো, এরপর থেকে মায়ের কথামতো মেয়েটিকে সঙ্গ দিতে শুরু করলাম।
আমার প্রতিটা অবসর সময়ই এখন ওরে ঘিরে কাটে। আমরা রোমের ভিতরে যতটা সময় গল্প করে পার করি এরচেয়ে বেশি কোলাহলে প্রকৃতির রাজা আকাশের নিচে মৃদু বাতাসের মাঝে ছাদে বসে গল্প করি। আমাদের ছাদে প্রতিটাক্ষণেই একটা উষ্ণ আবহাওয়া ডেউ খেলে কারন বিল্ডিংটির চারিদিকেই বিভিন্ন গাছগাছালি। তাই রৌদ্র থাকলেও রৌদ্রতেজ অনুভব হয়না। তবে গল্পের বেশির ভাগ সময়ই বিকালবেলা হয়।
.
প্রতিদিন সে আমার হাতে ধরে আমার রোম থেকে ছাদে নিয়ে যাই। একদিন বিকালবেলা আমরা ছাদের একটি ব্যাঞ্চে বসে গল্প করতেছিলাম। তখন সে আবদার করে বসলো, একটা কবিতা শুনাইবেন প্লিজ। আমার কাছে এটাই তার প্রথম আবদার, কি করে ফেলি? তাই আমি বায়না ধরে একটা আবদার করে বসলাম, হ্যা কবিতা বলবো তবে তোমাকে আমায় একটা গান শুনাতে হবে। বলো রাজি?
- সবমসময় এতো বায়না ধরেন কেন?
- কয় বায়না ধরলাম, আমি তোমাকে কবিতা শুনাইবো আর তুমি কিছু শুনাইবে না তা কি হয়?
- ঠিক আছে বলেন, শুনাইবো।
শুনো,
আমি তোমার হবো,
কাছে এসো ভালবাসবো।
বৃষ্টিতে দুজন ভিজবো,
রৌদ্রে দুজন চোরাবালিতে হাটবো।
তুমি আমায় আদর করে,
তখন মায়ের কথাগুলো শুনে আমার পুরোটা শরীল শীতল হয়ে গেলো। তারপর আমার রোমে চলে এসে মায়ের কথাগুলো চিন্তা করে দেখলাম কথাগুলো একেবারেই সত্যি বাস্তব কথা, বাস্তবতাই ইহার প্রমাণ।
তারপর থেকে আমার ধারণা পালটে গেলো, এরপর থেকে মায়ের কথামতো মেয়েটিকে সঙ্গ দিতে শুরু করলাম।
আমার প্রতিটা অবসর সময়ই এখন ওরে ঘিরে কাটে। আমরা রোমের ভিতরে যতটা সময় গল্প করে পার করি এরচেয়ে বেশি কোলাহলে প্রকৃতির রাজা আকাশের নিচে মৃদু বাতাসের মাঝে ছাদে বসে গল্প করি। আমাদের ছাদে প্রতিটাক্ষণেই একটা উষ্ণ আবহাওয়া ডেউ খেলে কারন বিল্ডিংটির চারিদিকেই বিভিন্ন গাছগাছালি। তাই রৌদ্র থাকলেও রৌদ্রতেজ অনুভব হয়না। তবে গল্পের বেশির ভাগ সময়ই বিকালবেলা হয়।
.
প্রতিদিন সে আমার হাতে ধরে আমার রোম থেকে ছাদে নিয়ে যাই। একদিন বিকালবেলা আমরা ছাদের একটি ব্যাঞ্চে বসে গল্প করতেছিলাম। তখন সে আবদার করে বসলো, একটা কবিতা শুনাইবেন প্লিজ। আমার কাছে এটাই তার প্রথম আবদার, কি করে ফেলি? তাই আমি বায়না ধরে একটা আবদার করে বসলাম, হ্যা কবিতা বলবো তবে তোমাকে আমায় একটা গান শুনাতে হবে। বলো রাজি?
- সবমসময় এতো বায়না ধরেন কেন?
- কয় বায়না ধরলাম, আমি তোমাকে কবিতা শুনাইবো আর তুমি কিছু শুনাইবে না তা কি হয়?
- ঠিক আছে বলেন, শুনাইবো।
শুনো,
আমি তোমার হবো,
কাছে এসো ভালবাসবো।
বৃষ্টিতে দুজন ভিজবো,
রৌদ্রে দুজন চোরাবালিতে হাটবো।
তুমি আমায় আদর করে,
কাছে না ডাকলে গো আমি মরে যাবো।
যদি হাতটি ধরো,
ভালোবাসা দিবো আছে যত।
.
ব্যাস আর বলতে পারছিনা এখন তুমি বলো। কি গান শুনবে? বাংলা না ইংলিশ?
- তুমি ইংলিশ গান অনেক ভালো গাইতে পারো আন্টি বলেছে, ইংলিশই শুনবো।
তারপর টাইটানিক ফিল্মের থিম সংটি গেয়ে শুনালো,
- সত্যিই অসাধারণ গেয়েছো।
- হয়ছে আর বলতে হবে না। আপনি মিথ্যা বলছেন।
- আরে না তুমি অনেক সুন্দর গেয়েছো বিলিভ মি।
- অহ তাই?
- হুম।
- তাহলে পয়সা দেন।
- কিসের পয়সা?
- গান যে শুনাইলাম।
- ঠিক আছে, কত দিতে হবে?
- যত দেন, পয়সা হলেই হবে গিফট হিসেবে রেখে দিবো।
তারপর দাদার কালের পাকিস্তানি পঞ্চাশ পয়সা দিলাম।
তারপর আমার কবিতার জন্য অর্থ চেয়ে বসলাম।
- কত দিতে হবে আমার কাছে তো কোন পয়সা নাই।
- না আমি পয়সা নিবো না।
- কি দিতে হবে?
তখন হাতের মধ্যাঙ্গুলি দিয়ে ইশারায় গালে চুমু দেওয়ার নির্দেশ দিলাম।
সে কিছুটা লজ্জা পেয়ে বলল যান আপনি অনেক দুষ্ট, আমি চুমু দিতে পারবো না। আমি রাগ করে পিছন ঘুরে গেলাম। সে বুঝতে পারলো এখন যদি আমার রাগ না ভাঙ্গায় আর কখনো রাগ ভাঙ্গবেনা। তাই পিছন থেকেই বা গালে একটা চুমু বসিয়ে দিয়েই দৌড়ে ছাদ থেকে নেমে তার রোমে চলে গেলো। এদিকে সন্ধ্যাও ঘনিয়ে আসলো তাই আমিও রোমে চলে গেলাম।
ব্যাস আর বলতে পারছিনা এখন তুমি বলো। কি গান শুনবে? বাংলা না ইংলিশ?
- তুমি ইংলিশ গান অনেক ভালো গাইতে পারো আন্টি বলেছে, ইংলিশই শুনবো।
তারপর টাইটানিক ফিল্মের থিম সংটি গেয়ে শুনালো,
- সত্যিই অসাধারণ গেয়েছো।
- হয়ছে আর বলতে হবে না। আপনি মিথ্যা বলছেন।
- আরে না তুমি অনেক সুন্দর গেয়েছো বিলিভ মি।
- অহ তাই?
- হুম।
- তাহলে পয়সা দেন।
- কিসের পয়সা?
- গান যে শুনাইলাম।
- ঠিক আছে, কত দিতে হবে?
- যত দেন, পয়সা হলেই হবে গিফট হিসেবে রেখে দিবো।
তারপর দাদার কালের পাকিস্তানি পঞ্চাশ পয়সা দিলাম।
তারপর আমার কবিতার জন্য অর্থ চেয়ে বসলাম।
- কত দিতে হবে আমার কাছে তো কোন পয়সা নাই।
- না আমি পয়সা নিবো না।
- কি দিতে হবে?
তখন হাতের মধ্যাঙ্গুলি দিয়ে ইশারায় গালে চুমু দেওয়ার নির্দেশ দিলাম।
সে কিছুটা লজ্জা পেয়ে বলল যান আপনি অনেক দুষ্ট, আমি চুমু দিতে পারবো না। আমি রাগ করে পিছন ঘুরে গেলাম। সে বুঝতে পারলো এখন যদি আমার রাগ না ভাঙ্গায় আর কখনো রাগ ভাঙ্গবেনা। তাই পিছন থেকেই বা গালে একটা চুমু বসিয়ে দিয়েই দৌড়ে ছাদ থেকে নেমে তার রোমে চলে গেলো। এদিকে সন্ধ্যাও ঘনিয়ে আসলো তাই আমিও রোমে চলে গেলাম।
No comments
Post a Comment