সুখের রুপান্তর।
সুখের রুপান্তর।
আজ থেকে বহু বছর আগে বাবা আমাকে সহ মাকে ফেলে চলে গেছিলেন। সেই থেকে আমাকে নিয়েই মায়ের জীবন চলা । চিরকালই মা আমার বড্ড চাপা স্বভাবের । সাত চরেও রাও করে না । জগতে এ ধরনের মানুষের বড় অভাব । আমরা প্রত্যেকেই খুব সংবেদী । আমাদের ভারী দুঃখ । কিন্তু এ মায়েদের যেন কোন দুঃখই নেই ।
বাবা আমাদের ছেড়ে যাবার পর মা কখনো কাদেনি। আমি কখনো মা কে দু:খ করতে দেখিনি । আমাকে নিয়েই যেন মায়ের সর্ব সুখের রাজ্য ।
কিন্তু এ রাজ্যের সকল সুখ যে সূর্যের ন্যায় সন্ধা হতেই মিলিয়ে যায় দূর আকাশে । আর নেমে আসে কষ্টের গহিন অন্ধকার । আর অন্ধকারের কষ্ট গুলি সকলের অগোচরেই থেক যায় । শুকিয়ে আসে সূর্যের আলোয় চক চক করা চোখের জল ।
কিন্তু এ রাজ্যের সকল সুখ যে সূর্যের ন্যায় সন্ধা হতেই মিলিয়ে যায় দূর আকাশে । আর নেমে আসে কষ্টের গহিন অন্ধকার । আর অন্ধকারের কষ্ট গুলি সকলের অগোচরেই থেক যায় । শুকিয়ে আসে সূর্যের আলোয় চক চক করা চোখের জল ।
বাবা শেষ বার এসেছিলেন আমার প্রথম বিয়ের আগে । হঠাৎ করেই চলে আসেন নিজের মেয়ের বিয়ের দায়িত্ব নিতে ।
শান্ত সুন্দর চেহারা - ধবধবে গায়ের রং-মাথায় কুকরানো চুল-সব মিলিয়ে এক সুদর্শন শিক্ষিত যুবকের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করা হয় । কিন্ত সে পাত্র বাবার পছন্দ হয়নি । তাই বাবা মাকে বলেছিল সে বিয়ে ভেঙ্গে দিতে ।
কিন্তু মা তা করেননি । মা বড্ড অভাক হয়েছিলেন বাবার কথায় । মেয়ে কোনদিন কথা বলবেনা জেনে যে বাবা মেয়েকে ফেলে চলে যেতে পারে । সে বাবার এই ভালবাসা কি সত্যি ছিল ? মা হয়ত সেটা বিস্বাস করতে পারছিলেন না ।
মা বাবাকে বলেছিলেন ,আজ আপনার এই ভালবাসা কি
মেয়ের জন্য সত্যই !?যদি তাই হয় তবে নিজের
সঙ্গে নিয়ে চলেন । আর নিজের পছন্দসই পাত্রের সঙ্গে মেয়ের বিয়েদিন। আজ এত বছর
পর এসে কোন মুখে আপনার হয়ে কথা বলব বলতে পারেন?
মেয়ের জন্য সত্যই !?যদি তাই হয় তবে নিজের
সঙ্গে নিয়ে চলেন । আর নিজের পছন্দসই পাত্রের সঙ্গে মেয়ের বিয়েদিন। আজ এত বছর
পর এসে কোন মুখে আপনার হয়ে কথা বলব বলতে পারেন?
--না আমি আমার হয়ে তোমাকে কথা বলতে বলছি না । আমি বলছি তুমি মিতুলের হয়ে কথা বল।
--সে উপায় কি আমার আছে?মিতুলের মামারাই মিতুলকে এতদিন বাবার স্নেহে বড় করেছেন । এখন তারা যে সিদ্ধান্ত নিবেন তার উপর আমি কোন কথা বলতে পারিনে ।
---তাহলে আজকের পর থেকে ভুলে যেও আমি মিতুলের বাবা । আমি আজই চলে যাচ্ছি ।
বাবার চলে যাবার কথা শুনে মা স্তব্ধ হয়ে ছিলেন । মা জানতেন বাবা এখানে থাকতে আসেনি । তবু যেন কোথাও এতটুকু চাওয়া মায়ের ছিল বাবা আমার বিয়েতে অন্তত থেকে যাবেন ।
বাবা চলে গেলেন । ।
বাবা চলে গেলেন । ।
শুনেছি বাবা আবার বিয়ে করেছেন । আর একটি ফুটফুটে সুন্দর কন্যা ও হয়েছে । যে সারা বাড়িময় বাবা বাবা বলে ছুটে বেড়াই । বাবার কাধে চরে ঘুরে বেড়াই । সে নাকি বাবার বড্ড আদুরে । আর আমি“““““““
আমিও তো কত ডাকি বাবা বাবা বলে কই আমায় ত কখনত্ত ভালবাসলে না ?
আমার ডাক কখনত্ত বুঝার চেষ্টাই তুমি করনি বাবা । আমার না বলা কথায় যে শত কথার মালা আমি গাথি সে তুমি বুঝনি । তুমি কেবলই আমার মুখের কথাই খুজেছ । হৃদয়ের কথা আর তোমায় শুনাতে পারলাম না । তাই আমার না পাওয়া সুখ টুকু সেই না দেখা মিষ্টি মেয়েটার জন্যই রইল যে তোমায় বাবা বলে ডাকে ।
আমিও তো কত ডাকি বাবা বাবা বলে কই আমায় ত কখনত্ত ভালবাসলে না ?
আমার ডাক কখনত্ত বুঝার চেষ্টাই তুমি করনি বাবা । আমার না বলা কথায় যে শত কথার মালা আমি গাথি সে তুমি বুঝনি । তুমি কেবলই আমার মুখের কথাই খুজেছ । হৃদয়ের কথা আর তোমায় শুনাতে পারলাম না । তাই আমার না পাওয়া সুখ টুকু সেই না দেখা মিষ্টি মেয়েটার জন্যই রইল যে তোমায় বাবা বলে ডাকে ।
বাবার অপছন্দের পাত্রের সাথেই আমার বিয়ে হয়ে গেল । বরের আত্মীয়স্বজন বেশ অভাক হয়েছেন । আমার শশুর এমন বোবা মেয়েকে কেন ছেলের বউ করে আনলেন তা নিয়ে প্রশ্নের অন্ত রইল না ।
আমার মনেও এ নিয়ে বহু প্রশ্ন জমা হয়ে আছে । তবে তার উত্তর জানতে চাওয়ার অধিকারী আমি নই।
আমার শশুর মশাই বড্ড ভালবাসেন আমায় । ভালবেসে বউমা নয় “মা” “মা” বলেই ডাকেন।
তাঁকে চিৎকার করে বাবা ডাকতে ইচ্ছে হয় আমার । কিন্ত সে ডাক আমার কন্ঠধ্বনিতেই আটকে থাকে ।
সকল ভালবাসা সবার ভাগ্যে সহে না । তাই হয়ত আমার ভাগ্যেও সয়নি পিতৃ স্নেহ ।
আমার শশুর মশাই বড্ড ভালবাসেন আমায় । ভালবেসে বউমা নয় “মা” “মা” বলেই ডাকেন।
তাঁকে চিৎকার করে বাবা ডাকতে ইচ্ছে হয় আমার । কিন্ত সে ডাক আমার কন্ঠধ্বনিতেই আটকে থাকে ।
সকল ভালবাসা সবার ভাগ্যে সহে না । তাই হয়ত আমার ভাগ্যেও সয়নি পিতৃ স্নেহ ।
আমার বর বিয়ের আগে থেকেই অন্য মেয়েকে ভালবাসতেন । কিন্তু পরিবারের চাপে পরে আমাকে বিয়ে করেন । তাই আমার মতো বোবা মেয়েকে ভালবেসে সংসার করা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি । বিয়ের তিন মাস পর ওর ভাল একটা চাকরি হয় । তাই নিজের ভালবাসার মানুষকে নিয়ে ঘর বাদতে পারি জমায় শহরে ।
আর আমার জন্য রেখে যায় এক খানা পত্র ।
---“মিতুল”
আমি রনিতাকে বিয়ে করেছি । ওকে খুব ভালবেসে ফেলেছিলাম । তাই আর তোমার কাছে ফিরার পথ আমার ছিল না । আমি চলে যাচ্ছি । শুনেছি তুমি ছোট থেকেই বহু দুঃখ কষ্টেই বড় হয়েছ । তাই আমার দেয়া কষ্ট খানি তোমার জন্য নতুন কিছু হবে না আশা করি । ভালো থেকো । ”
আমি রনিতাকে বিয়ে করেছি । ওকে খুব ভালবেসে ফেলেছিলাম । তাই আর তোমার কাছে ফিরার পথ আমার ছিল না । আমি চলে যাচ্ছি । শুনেছি তুমি ছোট থেকেই বহু দুঃখ কষ্টেই বড় হয়েছ । তাই আমার দেয়া কষ্ট খানি তোমার জন্য নতুন কিছু হবে না আশা করি । ভালো থেকো । ”
চিঠি খানি পড়ার পর আমার চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছিল । আর জানতে ইচ্ছে করছিল কেন আমার সুখী হওয়ার অধিকার নেই ?সুখ কি কেবল সুখীদের জন্য ?আর দুঃখ কেবল দুঃখীর?কেন দুঃখ আজও হয়না সুখের রুপান্তর ?
কিন্তু সে চিৎকার কেবলই আমার বুকের ভিতর ঢুকরে কেঁদে ফেরে । সে আওয়াজ আর কিছুতেই পাইনে ।
কিন্তু সে চিৎকার কেবলই আমার বুকের ভিতর ঢুকরে কেঁদে ফেরে । সে আওয়াজ আর কিছুতেই পাইনে ।
বরের দেয়া শেষ উপহারটা(পত্র) নিয়ে যখন বাড়ি ফিরে ছিলাম ,মা আমায় জড়িয়ে ধরে খুব
কেঁদে ছিলেন । আমি বুঝতে পার ছিলাম মায়ের সেই কাঁন্নার কারন কেবল আমি নয় । অনেকটা বাবার
জন্যও ছিল । যদি মা সেদিন বাবার কথা শুনতেন । তাহলে হয়ত একটা কষ্ট থেকে বেঁচে যেত তাঁর মেয়েটা । মায়ের এ আক্ষেপের শব্দ আমি শুনতে পার ছিলাম । কাঁন্নার সাথে মিশে একাকার হওয়া সে শব্দ ,এক অদ্ভুত কম্পন তুলে ছিল আমার হৃদয়ে ।
কেঁদে ছিলেন । আমি বুঝতে পার ছিলাম মায়ের সেই কাঁন্নার কারন কেবল আমি নয় । অনেকটা বাবার
জন্যও ছিল । যদি মা সেদিন বাবার কথা শুনতেন । তাহলে হয়ত একটা কষ্ট থেকে বেঁচে যেত তাঁর মেয়েটা । মায়ের এ আক্ষেপের শব্দ আমি শুনতে পার ছিলাম । কাঁন্নার সাথে মিশে একাকার হওয়া সে শব্দ ,এক অদ্ভুত কম্পন তুলে ছিল আমার হৃদয়ে ।
প্রথম বিয়ে ভেঙ্গে যাবার এক বছরের মধ্যেই মামারা
আমার দ্বিতীয় বিয়ের আয়োজন করেন । এবার ষাট উর্ধ এক লোকের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করা হয় । বয়স যায় হোক এখন তাকে পাত্র বলেই সম্বোধন করতে হবে ।
পাত্র জীর্ণ শীর্ণ ,ভাঙ্গা গাল,থুতনির নিচে সামান্য দাড়িওয়ালা , সাদাসিধে মানুষ । পেশায় ব্যবসায়ী ।
পাত্রের পঁঞ্চাশ উর্ধ স্ত্রী অকালে মারা যাওয়ায় আমাকে বিয়ে করতে রাজী হয়েছেন । নইলে এমন বিয়ে ভাঙ্গা ,বোবা মেয়েকে কি আর বিয়ে করতে আসে !যাই হোক এবারও বিয়েটা হয়েই গেল ।
তবে এবার আর আমার বর অন্য কারো সাথে সংসার করতে চিঠি লিখে পালাইনি ।
এবার তিঁনি একাই চলে গেছেন । আমাকে ভালো থাকার শুভেচ্ছা টুকুও জানাবার সুযোগ সে পাইনি ।
কিছু না বলেই চলে গেলেন মৃত্যুপুরির গভীরতম নিদ্রায় ।
আমার দ্বিতীয় বিয়ের আয়োজন করেন । এবার ষাট উর্ধ এক লোকের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করা হয় । বয়স যায় হোক এখন তাকে পাত্র বলেই সম্বোধন করতে হবে ।
পাত্র জীর্ণ শীর্ণ ,ভাঙ্গা গাল,থুতনির নিচে সামান্য দাড়িওয়ালা , সাদাসিধে মানুষ । পেশায় ব্যবসায়ী ।
পাত্রের পঁঞ্চাশ উর্ধ স্ত্রী অকালে মারা যাওয়ায় আমাকে বিয়ে করতে রাজী হয়েছেন । নইলে এমন বিয়ে ভাঙ্গা ,বোবা মেয়েকে কি আর বিয়ে করতে আসে !যাই হোক এবারও বিয়েটা হয়েই গেল ।
তবে এবার আর আমার বর অন্য কারো সাথে সংসার করতে চিঠি লিখে পালাইনি ।
এবার তিঁনি একাই চলে গেছেন । আমাকে ভালো থাকার শুভেচ্ছা টুকুও জানাবার সুযোগ সে পাইনি ।
কিছু না বলেই চলে গেলেন মৃত্যুপুরির গভীরতম নিদ্রায় ।
তাই আমার গন্তব্য আবার মায়ের কোল।পৃথিবীর সব থেকে নিরাপদ আর শান্তির সেই আশ্রম।
আজকের সন্ধার আকাশটা বেশ ভাল লাগছিল। চারদিক অন্ধকার হয়ে এলো । দূর গ্রামে আগুন লাগলে যেমন তার শিখা আকাশে লাফিয়ে উঠতে থাকে ।
তেমনি বহু দূর থেকে এক একবার এক একটা কলরবের ঢেউ অন্ধকারের ভিতর থেকে যেন ফেপে উঠতে লাগল ।
তেমনি বহু দূর থেকে এক একবার এক একটা কলরবের ঢেউ অন্ধকারের ভিতর থেকে যেন ফেপে উঠতে লাগল ।
আজ আবার বাড়িতে বিয়ে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে । তবে এবার আর আমার নয় । মায়ের বিয়ে নিয়ে কথা হচ্ছে ।
মা হঠাৎ হনহন করে ঘরে ঢুকে পরল । বুঝতে পারছিলাম মায়ের কিছু একটা হয়েছে ।
আমি মায়ের দিকে
তাকিয়ে আছি । মায়ের চোখ দুটি ছলছল করছে । মনে হচ্ছে চোখের প্রাচীর টপকে এখনি জল চলে আসবে ।
মা ও তাকিয়ে আছে আমার দিকে । আমার ভিতরের সব কথা যেন মা এক পলকেই পড়ে ফেলছে ।
এবার সব নিরবতা ভেঙ্গে কথা বললেন মা,
মা হঠাৎ হনহন করে ঘরে ঢুকে পরল । বুঝতে পারছিলাম মায়ের কিছু একটা হয়েছে ।
আমি মায়ের দিকে
তাকিয়ে আছি । মায়ের চোখ দুটি ছলছল করছে । মনে হচ্ছে চোখের প্রাচীর টপকে এখনি জল চলে আসবে ।
মা ও তাকিয়ে আছে আমার দিকে । আমার ভিতরের সব কথা যেন মা এক পলকেই পড়ে ফেলছে ।
এবার সব নিরবতা ভেঙ্গে কথা বললেন মা,
----তুই ভাবিসনে মিতুল । আমি তোকে ফেলে কোথাও যাবো না ।
-----আমি হাত নাড়িয়ে আর অ আ শব্দ করে মাকে বোঝাবার চেষ্টা করি ,
আমি তা জানি মা । এই জগতে তো তুমিই আমার এক মাত্র আশ্রয় ।
আমি তা জানি মা । এই জগতে তো তুমিই আমার এক মাত্র আশ্রয় ।
মা আমায় খুব শক্ত করে ধরে আছেন । যেন কেউ আমার থেকে মা কে আলাদা করতে না পারে ।
মা আজ কাঁদছে । খুব কাঁদছে । বহু বছর পর আজ মা কে কাঁদতে দেখছি । এত বছরদরে যে কষ্টের হিম জমা করেছেন, আজ যেন তা একটু একটু করে গলতে শুরু করেছে ।
মা আজ কাঁদছে । খুব কাঁদছে । বহু বছর পর আজ মা কে কাঁদতে দেখছি । এত বছরদরে যে কষ্টের হিম জমা করেছেন, আজ যেন তা একটু একটু করে গলতে শুরু করেছে ।
কাঁদলে মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাগব হয়। কাঁদতে না পারা মানুষ গুলি পৃথিবীতে বড্ড অসহায় ।
আগামীকাল মায়ের বিয়ে ।
যে পাত্রের সাথে মায়ের বিয়ে ঠিক করা হয়েছে তিনি খুব ভাল মানুষ । তিনি মায়ের সাথে আমার দায়িত্বভার ও নিতে চেয়েছেন ।
উনার প্রথম স্ত্রীর কোন সন্তান হয়নি । প্রায় এক বছর আগে ক্যান্সারে মারা যায় সে ।
ভেবেছিলেন মৃত স্ত্রীর স্মৃতি আগলেই কাটিয়ে দিবেন বাকি জীবনটা । কিন্তু কিছুদিন আগেই এক আত্নয়ার কাছে মায়ের কথা শুনেন । তই হয়ত এক দুঃখিনীর দুঃখ গোছানোর ইচ্ছে জেগেছে ।
যে পাত্রের সাথে মায়ের বিয়ে ঠিক করা হয়েছে তিনি খুব ভাল মানুষ । তিনি মায়ের সাথে আমার দায়িত্বভার ও নিতে চেয়েছেন ।
উনার প্রথম স্ত্রীর কোন সন্তান হয়নি । প্রায় এক বছর আগে ক্যান্সারে মারা যায় সে ।
ভেবেছিলেন মৃত স্ত্রীর স্মৃতি আগলেই কাটিয়ে দিবেন বাকি জীবনটা । কিন্তু কিছুদিন আগেই এক আত্নয়ার কাছে মায়ের কথা শুনেন । তই হয়ত এক দুঃখিনীর দুঃখ গোছানোর ইচ্ছে জেগেছে ।
আমি আর মা এখন নতুন বাবার বাড়িতে ।
মানুষটা আমায় বুঝতেই দিচ্ছেন না আমি উনার নিজের সন্তান নয় ।
এত বছরদরে বুকের ভিতর লালিত পিতৃ স্নেহের সবটা উজাড় করে দিয়েছেন ।
তবুত্ত আজ বাবার কথা বড্ড মনে পড়ছে ।
জগতের সকল সন্তানের কাছেই তার বাবা শ্রেষ্ঠতর । কিন্তু জীবন থেকে পাওয়া আপন কিছু মানুষ থাকে যাদের থেকে প্রাপ্তিস্থান কেবলই শূন্য ।
মানুষটা আমায় বুঝতেই দিচ্ছেন না আমি উনার নিজের সন্তান নয় ।
এত বছরদরে বুকের ভিতর লালিত পিতৃ স্নেহের সবটা উজাড় করে দিয়েছেন ।
তবুত্ত আজ বাবার কথা বড্ড মনে পড়ছে ।
জগতের সকল সন্তানের কাছেই তার বাবা শ্রেষ্ঠতর । কিন্তু জীবন থেকে পাওয়া আপন কিছু মানুষ থাকে যাদের থেকে প্রাপ্তিস্থান কেবলই শূন্য ।
আমার দুঃখিনী মা কে আজ পৃথিবীর সব থেক সুখী মনে হচ্ছে। নতুন বাবার মৃত স্ত্রীর বুনে যাওয়া সুখ বাগানের একমাত্র মালকিন এখন আমার মা।
No comments
Post a Comment