জীবন
জীবন
প্রায় প্রতিটা মানুষই বড় হওয়ার পর আবার শৈশবে ফিরে যেতে চায়। কারণ একটাই- ছোটবেলার লাইফটা সুন্দর ছিলো, এতো কমপ্লিকেটেড ছিলো না, আমরা তখন হ্যাপি ছিলাম...
কিন্তু আমরা তখন কেনো হ্যাপি ছিলাম আর এখন কেনো নই এটা কখনো গভীরভাবে ভেবে দেখিনা।
.
যখন একদম ছোট ছিলাম তখন মায়ের সঙ্গ আর ক্ষুধা লাগলে খেতে পেলেই খুশি ছিলাম। যখন আরেকটু বড় হলাম, তখন এগুলোর সাথে যোগ হলো বন্ধু। বন্ধু একদিন খেলতে না আসলে মন খারাপ হতো।
.
যখন একদম ছোট ছিলাম তখন মায়ের সঙ্গ আর ক্ষুধা লাগলে খেতে পেলেই খুশি ছিলাম। যখন আরেকটু বড় হলাম, তখন এগুলোর সাথে যোগ হলো বন্ধু। বন্ধু একদিন খেলতে না আসলে মন খারাপ হতো।
তারপর আস্তে আস্তে যতো বড় হতে থাকলাম তত খুশি হওয়ার শর্ত যোগ হতে থাকলো। যেমন- ভালো রেজাল্ট, ভালো চাকরি, ভালো লাইফ পার্টনার.... এভাবে আস্তে আস্তে বাড়ি গাড়িসহ নানান জিনিস দিন দিন যোগ হতে থাকে।
এইযে সুখ শান্তির জন্য আমরা এতকিছু এক্সপেক্ট করি, এগুলো আমাদের ওপর এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করে যেটা আসলে আমাদের সুখে শান্তিতে থাকতে দেয় না।
এক কথায় বড় হতে হতে আমাদের এক্সপেক্টেশন বেড়ে যায়, যার জন্য হ্যাপিনেস কমে যায়।
ব্যপারটা এমন, একটা দাঁড়িপাল্লার একদিকে হ্যাপিনেস এবং আরেকদিকে এক্সপেক্টেশন। এক্সপেক্টেশনের পাল্লা যতো ভারী হতে থাকে, হ্যাপিনেসের পাল্লা ততো হালকা হতে থাকে।
.
এই এক্সপেক্টেশনগুলো দুধরনের হয়।
.
এই এক্সপেক্টেশনগুলো দুধরনের হয়।
প্রথমত, যে এক্সপেক্টেশন গুলো আমরা বাইরে কারোর কাছে বা বাইরের কোনো সিচুয়েশন থেকে এক্সপেক্ট করি। যেমন ধরেন আপনি চাচ্ছেন 'সে' এখন আপনাকে টেক্সট করুক বা আপনার সাথে কেউ প্রতারণা না করুক, ভালো ব্যবহার করুক ইত্যাদি..
সত্যিকার অর্থে এই এক্সপেক্টেশন গুলোর আসলে কোনো মূল্য নেই যেগুলো আমরা বাইরে কারোর কাছ থেকে করছি, বরং এগুলো বোকামি।
কারণ আপনার চাওয়াতে 'সে' আপনাকে টেক্সট করবে না বা আপনার সাথে সবাই ভালো ব্যবহারও করবেনা। এগুলো তাদের মর্জির ওপর নির্ভর করে যে তারা কি করবে, সেটা আপনি আমি কন্ট্রোল করতে পারবো না!
শুধু শুধু এই ধরনের এক্সপেক্টেশন আমাদের হ্যাপিনেসের পাল্লাটা হালকা করে দেয়।
.
দ্বিতীয় ধরনের এক্সপেক্টেশন হলো যেগুলো আমরা নিজের কাছে নিজেরা এক্সপেক্ট করি। যেমন- রেগুলার ভোর পাঁচটায় ওঠা, মাসে দশকেজি ওজন কমানো, পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া ইত্যাদি..
এই এক্সপেক্টেশন গুলো আমাদের কন্ট্রোলে থাকা উচিত। "থাকে" এর বদলে "থাকা উচিত" এইজন্য বললাম কারণ এক্ষেত্রেও আমাদের কন্ট্রোল পুরোপুরি নেই। কন্ট্রোল থাকলে আমরা বছরের শুরু থেকে পড়বো ঠিক করে পরীক্ষার আগে আগে এসে পড়তে বসতাম না!
এখন আমাদের মন বা শরীরও আমাদের নির্দেশ মতো কাজ করেনা। যদি সেটা হতো তাহলে আমরা সবসময় নিজেদের হ্যাপি রাখতে পারতাম আর ৯০% সমস্যার সমাধান এখানেই হয়ে যেত!
সত্যিকার অর্থে এই এক্সপেক্টেশন গুলোর আসলে কোনো মূল্য নেই যেগুলো আমরা বাইরে কারোর কাছ থেকে করছি, বরং এগুলো বোকামি।
কারণ আপনার চাওয়াতে 'সে' আপনাকে টেক্সট করবে না বা আপনার সাথে সবাই ভালো ব্যবহারও করবেনা। এগুলো তাদের মর্জির ওপর নির্ভর করে যে তারা কি করবে, সেটা আপনি আমি কন্ট্রোল করতে পারবো না!
শুধু শুধু এই ধরনের এক্সপেক্টেশন আমাদের হ্যাপিনেসের পাল্লাটা হালকা করে দেয়।
.
দ্বিতীয় ধরনের এক্সপেক্টেশন হলো যেগুলো আমরা নিজের কাছে নিজেরা এক্সপেক্ট করি। যেমন- রেগুলার ভোর পাঁচটায় ওঠা, মাসে দশকেজি ওজন কমানো, পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া ইত্যাদি..
এই এক্সপেক্টেশন গুলো আমাদের কন্ট্রোলে থাকা উচিত। "থাকে" এর বদলে "থাকা উচিত" এইজন্য বললাম কারণ এক্ষেত্রেও আমাদের কন্ট্রোল পুরোপুরি নেই। কন্ট্রোল থাকলে আমরা বছরের শুরু থেকে পড়বো ঠিক করে পরীক্ষার আগে আগে এসে পড়তে বসতাম না!
এখন আমাদের মন বা শরীরও আমাদের নির্দেশ মতো কাজ করেনা। যদি সেটা হতো তাহলে আমরা সবসময় নিজেদের হ্যাপি রাখতে পারতাম আর ৯০% সমস্যার সমাধান এখানেই হয়ে যেত!
সুতরাং দেখা যাচ্ছে দুই ধরনের এক্সপেক্টেশনই আমাদের হ্যাপিনেসের পাল্লা হালকা করে দিচ্ছে।
.
এখন আপনি ভাবছেন যদি নিজের ওপর নিজের কোনো আশা আকাঙ্ক্ষাই না থাকে তাহলে জীবনে উন্নতি করবো কিভাবে?
আমার মনে হয় এটা অনেক বড় একটা ভুল ধারণা যে আশা আকাঙ্ক্ষা বেশি থাকলে উন্নতি বেশি করা যায়।
একটা উদাহরণ দেই- ধরেন আপনি আশা করেন আপনি বড় সিঙ্গার হবেন এবং একটা কম্পিটিশনে গান গাইতে গেলেন। ওখানে আরো একজন গান গাইতে আসলো যার শুধুমাত্র গান গাইতে ভালো লাগে তাই সে শখ করে গায়, যার বড় সিঙ্গার হওয়ার কোনো আশা নেই।
এখন আপনার কি মনে হয়, কে ভালো গান গাইবে? আপনি, নাকি সে??
.
পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে যারা কখনো আশা করেনি আজ তারা যে অবস্থানে আছে সেখানে তারা পৌঁছাবে, তারপরও তারা পৌঁছে গেছে!
সুতরাং আশা আর সফলতার মধ্যে শত্রুতা বেশি বলা যায়। কারণ যখন আমরা নিজেদের নিয়ে বেশি আশা করতে থাকি, তখন আমাদের মধ্যে ভয় বা আশা অনুযায়ী সফল না হওয়ার হতাশা কাজ করে যেটা আমাদের 'হ্যাপিনেস কিলার' হিসেবে কাজ করে এবং কাজের গতি কমিয়ে দেয়।
.
তাই হ্যাপিনেসের পাল্লা ভারী রাখতে প্রথমেই বাইরের কারোর কাছ থেকে/বাইরের সিচুয়েশন থেকে কিছু এক্সপেক্ট করা এক্সপেক্টেশনের পাল্লা থেকে বাদ দিন। এই এক্সপেক্টেশনের আসলেই কোনো মূল্য নেই বরং ক্ষতিকর!
.
তাই হ্যাপিনেসের পাল্লা ভারী রাখতে প্রথমেই বাইরের কারোর কাছ থেকে/বাইরের সিচুয়েশন থেকে কিছু এক্সপেক্ট করা এক্সপেক্টেশনের পাল্লা থেকে বাদ দিন। এই এক্সপেক্টেশনের আসলেই কোনো মূল্য নেই বরং ক্ষতিকর!
আর দ্বিতীয় ধরনের যে এক্সপেক্টেশনের কথা বললাম অর্থাৎ আপনি নিজের কাছ থেকে নিজে যা এক্সপেক্ট করেন, ওগুলো উপকারী হতে পারে যদি আপনার মন বা শরীর আপনার কন্ট্রোলে থাকে।
এক্সপেক্টেশনের পাল্লায় এই ধরনের এক্সপেক্টেশন রাখতে চাইলে বেছে বেছে ওই এক্সপেক্টেশনগুলো রাখুন যেগুলো আপনার দ্বারা করা সম্ভব। যেমন- ভোর পাঁচটায় না উঠে আপনি অন্যদিনের তুলনায় এক ঘন্টা আগে ঘুম থেকে উঠবেন। মাসে দশকেজি ওজন না কমিয়ে এককেজি করে কমান।
এক্সপেক্টেশনের পাল্লায় এই ধরনের এক্সপেক্টেশন রাখতে চাইলে বেছে বেছে ওই এক্সপেক্টেশনগুলো রাখুন যেগুলো আপনার দ্বারা করা সম্ভব। যেমন- ভোর পাঁচটায় না উঠে আপনি অন্যদিনের তুলনায় এক ঘন্টা আগে ঘুম থেকে উঠবেন। মাসে দশকেজি ওজন না কমিয়ে এককেজি করে কমান।
মোটকথা এক্সপেক্টেশনের পাল্লায় কিছু রাখার আগে এটা মাথায় রাখবেন আপনি আপনার হ্যাপিনেসের সাথে কম্প্রোমাইজ করতে চলেছেন!
No comments
Post a Comment